গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬ লাখ ২৮ হাজার শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের সভাকক্ষে সংবাদকর্মীদের অংশগ্রহণে শিশু ও কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক টাইফয়েড বিষয়ক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানানো হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব মো: আমিন আল পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জিসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (জোন ৪) ইলিশায় রিছিল, ইউনিসেফের ন্যাশনাল ইপিআই স্পেশালিস্ট ডা: লি শান্তা মন্ডল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউ এইচ ও) এসআইএমও (ঝওগঙ) ডা: মাহবুবা সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৫৭টি ওয়ার্ডের ৮টি জোনে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৭৩২ শিশুকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামি ১২ অক্টোবর থেকে সারা দেশের মতো জেলাসহ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এ কর্মসূচি শুরু হবে। এদের মধ্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোট ৯৭৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৭৩২ শিশুকে এ টিকা দেওয়া হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব মো: আমিন আল পারভেজ জানান, সুষ্ঠু ও সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। টিকাদান কার্যক্রমে স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকদের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টাইফয়েডের টিকা নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্রতিটি শিশুর টিকা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাকটেরিয়াবাহী টাইফয়েড জ¦র শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। দূষিত খাবার, দূষিত পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব এ রোগের অন্যতম উৎস। এ কারণে জন্ম নিবন্ধন ছাড়াও শিশুদের টিকার আওতায় আনা হবে। তবে কোনো শিশু অসুস্থ থাকলে টিকা নিতে না পারলেও সুস্থ হলে পরবর্তী সময় টিকা নিতে পারবে।